ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি
করোনা মহামারির মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আশা জাগানো শুঁটকির উৎপাদন হলেও তা শতভাগ বিপণন না হওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কুটির শুঁটকি ব্যবসায়ীরা।
গেল মৌসুমে উপজেলায় ১০৮ মেট্রিকট্রন শুঁটকি উৎপাদিত হয়েছে। যার বাজার মূল্য ১৫০ কোটি টাকারও বেশি। তবে, করোনার কারণে চাহিদা কমে যাওয়ায় ভাল নেই এখানাকার শুঁটকি ব্যবসায়ীরা। ইন্ডিয়া ও মধ্যপাচ্য শুটকি রপতানি করতে না পারায় উৎপাদিত শুঁটকির প্রায় ৪০ ভাগ অবিক্রিত রয়ে গেছে।
প্রায় ছয় মাস ধরে চলে এখানে শুঁটকি তৈরির কাজ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শুটকি কেমিক্যাল মুক্ত ও প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদিত হওয়াই এর স্বাদে ও গুণে রয়েছে একটি আলাদা মাত্রা। যার কদর রয়েছে দেশ-বিদেশে। সুদূর লন্ডন মধ্যপ্রাচ্য, ভারতসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিপণন করা হয়ে থাকে এখানকার শুঁটকি
শুঁটকি উৎপাদনের প্রক্রিয়ায় কাঁচা মাছ সংগ্রহ করে শ্রমিকরা মাচার ওপর সূর্যের খরতাপে তা শুকাচ্ছে। আবার কেউ কেউ নতুন মাচা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কিছু মাছের শুঁটকি প্রক্রিয়া শেষে মাটির তৈরি মুঠকিতে ভরে রাখছে।
উপজেলা মৎস্য সম্পদ কর্মকর্তা শারমিন ফেরদৌসী রাখি বলেন, করোনা মহামারির কারনে শুটকি ব্যাবসায়ীরা অনেক ক্ষতির মুখে। গত মৌসুমের তুলনায় এবার আরো বেশি পরিমাণ শুঁটকি উৎপাদিত হবে বলে আমরা আশা করছি। এখানকার তৈরিকৃত শুঁটকিতে কোনো প্রকার ক্ষতিকর কেমিক্যাল যাতে ব্যবহার না হয় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।
বাদল আহাম্মদ খান দেশের কন্ঠ 24 .কম