স্টাফ রিপোর্টারঃ
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় এক সময় দূর- দূরান্ত থেকে আসা সাধারণ মানুষদের নানামুখী বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হতো এই আক্কেলপুর থানায়। প্রশাসন কর্তৃক বিভিন্ন অনিয়মে দিন দিন যেন আতংকের লাভা ভাসতো পৌর এলাকা সহ আক্কেলপুর উপজেলাতে আসা ও স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেনী পেশার সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করতো যে আতংক ছিলো কখন কাকে বিনাদোষে জেলে যেতে হবে’ নয়তো মোটা অংকের অর্থ বিনিময়ে থানা থেকেই মুক্ত হতে হবে। এর ফলে নানামুখী বিতর্ক ঘিরে ছিল আক্কেলপুর থানা পুলিশের উপর সাধারণ মানুষের মনে পুলিশের প্রতি আস্থা উঠে গিয়েছিল এমনকি দুইজন বিদায়ী আক্কেলপুর থানার ওসির বিরুদ্ধে সঠিক তথ্যে” আক্কেলপুর থানার ওসির গ্রেপ্তার বাণিজ্যে আতংকিত উপজেলাবাসী” আক্কেলপুর থানার ওসি চাঁদাবাজির কল রেকর্ড ফাঁশ এমন বেশকিছু শিরোনামে কয়েকটি পত্রিকায় সত্য সংবাদ প্রকাশ করার ফলে দুই জন গণমাধ্যম কর্মীকে সুযোগ বুঝে সঠিক তদন্ত না করেই মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে থানায় নিয়ে শারীরিক টর্চার করে জেল খাটানোও হয়েছে এবং অনেক গণমাধ্যম কর্মীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা দেয়ার রেকর্ডও রয়েছে যার ফলে গণমাধ্যম কর্মীরাও তখন তাদের বিরুদ্ধে কলম চালাতেও ভয় করতো। বিষয় গুলো জয়পুরহাট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাম কবির-পিপিএম’র মহোদয়ের দৃষ্টিগোচর হলে ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগে এক ওসিকে ক্লোজ পরে আর জনকে প্রত্যাহার করে জেলার কালাই থানা থেকে আক্কেলপুর থানায় যোগদান করান বর্তমান আক্কেলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.আব্দুল লতিফ খানকে। গল্প নয় এটাই সত্য যে, আক্কেলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.আব্দুল লতিফ খান থানার দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পর জনতার প্রতি আলাদা ভালোবাসা স্থাপন গড়ে পাল্টে দিয়েছেন এলাকার পূর্বের হালচিত্র “পুলিশি জনতা “জনতাই পুলিশ”এ স্লোগান কে বাস্তবে রুপ দিতে দিনরাত পরিশ্রম করছেন ওসি মো. আব্দুল লতিফ খান। ধীরে ধীরে এই কয়েক মাসের মধ্যে আক্কেলপুর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের প্রতিটি গ্ৰামে ও এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে তার ব্যাপক সুনাম,তিনি প্রতিটি গ্রামে প্রতি সপ্তাহে উপস্থিত হয়ে পুলিশ সম্পর্কে উঠান বৈঠকও করে থাকেন তিনি,পুলিশি সেবা নিতে জনগণ কে সরাসরি থানায় আসতে বলেন এমনকি কোন পুলিশ সদস্য যদি অসৎ আচরণ করে থাকে কারো কাছে যদি অর্থ দাবী করে তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দিতে জনগণদের সাহস যুগিয়ে থাকেন তিনি। বর্তমানে তার দৃষ্টি ছোয়াও লেগেছে আক্কেলপুর থানার দায়িত্বে থাকা তার অধিনস্থ সকল অফিসার ও পুলিশ সদস্যদের মাঝেও। এই জন্যই বলে-“সৎ সাহস আর সততা যেখানে অবস্থান করে সেখানে মানুষের শ্রদ্ধার গতিও বাড়ে”। যে ব্যাখ্যাটি বাস্তবে রুপ দিয়েছেন আক্কেলপুর থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ খান।
এক সময়ে ঘুষ,দুর্নীতি,অনিয়ম আর দালালিতে জর্জরিত ছিলো আক্কেলপুর থানাটি তখন থানা তো ছিলোনা ছিলো প্রাইভেট কোন ডায়াগনস্টিক সেন্টার যেখানে প্রবেশ করলেই অর্থ ছাড়া ফেরত আসা ছিলো অনেক কঠিন আর সেই সেন্টারে প্রবেশ করতো শুধু অর্থবান আর দালাল চক্রের সদস্যরা আর সাধারণ মানুষদের গেট ফি দিয়ে থানায় প্রবেশ করতো হতো এর ফলে মানুষ থানায় যাওয়া তো দূরের কথা পুলিশের নাম শুনলেই ভয় করতো। কিন্তু বর্তমানে সেই প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টার কে পুনরায় জনগণের সেবা কেন্দ্র হিসেবে রুপান্তরিত করেছেন ওসি মো. আব্দুল লতিফ খান। তিনি আক্কেলপুর থানায় যোগদানের পর যেমন আক্কেলপুর থানাধীন স্বস্তির নিঃশ্বাস বইছে ঠিক তেমনি পুলিশের প্রতি জনতার আস্তা ফিরে এসেছে শতভাগ মানুষের মাঝে। এমন সুনাম অর্জন কারী ওসি”র গুণের কথা শুনে তার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎ করলে তিনি বলেন, শুধু আক্কেলপুর থানা নয় প্রতিটি পুলিশই জনগনের সেবক। জনগণের যে কোন সমস্যায় জয়পুরহাট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাম কবির-পিপিএম মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় আমরা পুলিশ দিনরাত জনগণের সেবা দিতে পাশে আছি। এখন থানায় জিডি, অভিযোগ ও মামলা করতে কোন টাকা লাগেনা থানায় আসতে কারো অনুমতি লাগেনা যে কেউ যেকোনো সময় সরাসরি নির্ভয়ে আমার সাথে সাক্ষাৎ করতে পারে। তিনি সংবাদ কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা জাতির দর্পণ আপনাদের মাধ্যমে প্রচার হয় সমাজের সকল চিত্র তাই আপনারা আপনাদের লিখুনির মাধ্যম তুলে ধরবেন আক্কেলপুর থানায় সেবা নিতে কাউকে টাকা দিতে হয়না। সাক্ষাৎ কালে হঠাৎই গোপীনাথপুর ইউপির দুইজন বৃদ্ধা স্বামী-স্ত্রী ওসির রুমে প্রবেশ করে বললেন বাবা আমাদের বাড়িতে চাউল নেই,তিনি ততক্ষণিক একজন অফিসার ডেকে টাকা দিয়ে বললেন ওনাদের চাউল কিনে দিয়ে আসুন, বৃদ্ধা স্বামী-স্ত্রীদের বিদায় জানানোর সময়ে তিনি শুধু বললেন আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন, আপনাদের যে টাকাই চাউল কিনে দিলাম তা কোন ঘুষের টাকা নয় ওটা আমার বেতনের টাকা। তার এমন আচরণে অবাক হয়ে গেলাম প্রশ্ন করার ভাষাই হারিয়ে ফেললাম।
পরে তার বিষয়ে আরও জানা যায় এ থানায় সেবা নিতে আসা সকল শ্রেনী পেশার মানুষ অনুমতি ছাড়াই সরাসরি ওসি’র রুমে প্রবেশ করতে পারে তাদের যেকোনো সমস্যার কথা খুলে বলতে পারে এ কার্যক্রম তিনি নিজেই চালু করেছেন বলে জানা যায়। সেই সাথে জনসাধারণ যাতে নির্ভয়ে ও ন্যায় বিচার পাওয়ার বিশ্বাস খুঁজে পাই তার জন্য তার মিষ্টিভাষী কথা গুলো শুনে মানুষের মন ভরে যায়। এবং আক্কেলপুর থানার সকল পুলিশ সদস্যকে তিনি মানুষের নিরাপত্তা ও সেবার মান নিশ্চিত করতে সর্বদা সজাগ থাকতেও প্রতিনিয়তই নির্দেশ দেন। সেই সাথে উপজেলার সকলের সহযোগীতা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তথ্য দিয়ে পাশে থাকার আহব্বানও জানান। এমনকি তিনি আক্কেলপুর থানায় যোগদানের পর থেকেই প্রতিরাতে নিজেই রাত জেগে সাদা পোশাকে বিভিন্ন এলাকায় টহল দিয়ে থাকেন আর দিনে পড়া মহল্লায় তার ভিজিটিং কার্ড বিতরণ করেন যাতে ওসির মোবাইল নম্বর যেন কাউকে খুঁজতে না হয়। এমনি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন আক্কেলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ খান।
নিরেন দাস দেশের কণ্ঠ ২৪.কম