নিজস্ব সংবাদদাতা:
পটুয়াখালীর বাউফলে এক শিক্ষিকা নারীর সাজানো মিথ্যা মামলায় বিপাকে পড়েছেন দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার বাউফল উপজেলা প্রতিনিধি ও বাউফল প্রেসক্লাবের সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক এবং বাউফল সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার আরবি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাংবাদিক আবু সুফিয়ান ꫰
ওই শিক্ষিকা নারীর নাম সালমা বেগম। তিনি উপজেলার নুরাইনপুর নেছারিয়া ফাজিল মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ꫰
সাংবাদিক আবু সুফিযান অভিযোগ করে জানান, শিক্ষক সালমা আক্তার পিরোজপুুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার নদমুল্লা গ্রামের সরোয়ার হোসেনের স্ত্রী। গত ২০১৯ সালে ফেব্রয়ারী মাসে চাকুরির সুবাদে বাউফল উপজেলায় আসেন। সেই সময় থেকে তার সাথে সালমা বেগমের পারিবারিক ভাবে পরিচয়। দীর্ঘ মাস ধরে সালমা আক্তার তার স্বামী সরোয়ারকে নিয়ে বাউফল পৌরশহরের বাংলাবাজার এলাকায় মজিবুর রহমানের বাসায় ভাড়া থাকেন। একই ভবনের অন্য ফ্ল্যাটে সাংবাদিক আবু সুফিয়ান কয়েক বছর ধরে ভাড়া থাকেন। সেই সুবাধে তাদের দুই পরিবারের মধ্যে পারিবারিক ভাবে সু-সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি সালমা আক্তারের সাথে সাংবাদিক সুফিয়ানের স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগমের সাথে টুকিটাকি বিষয় নিয়ে সম্পর্কের অবনতি হয়। এনিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মন মালিন্য চলছে। বাসার মালিক মজিবর রহমান বাসা ছেড়ে অন্যত্র যাওয়ার কথা বলে। এতে সালমা বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিক সুফিয়ানের স্ত্রীর সামনেই তার (সুফিয়ানের) বিরুদ্ধে মামলার করার হুমকি দেয়।
সুফিয়ানের স্ত্রী হোসনেয়ারা জানান, গত শুক্রবার বিকালে বাউফল থানা থেকে পুলিশ এসে স্বামী আবু সুফিায়ানকে খোঁজ করলে তাদের মাধ্যমে জানতে পারি তার স্বামীর বিরুদ্ধে বাউফল থানায় যৌন হয়রানি মামলা হয়েছে। আমি এই সাজানো মামলা থেকে আমার স্বামীর অব্যাহতি চাই।
এব্যাপারে শিক্ষক সালমা আক্তার জানান, মামলার কপি আমি এখনও হাতে পাইনি। কপি পাওয়ার পরে এবিষয়ে বলবো।
এদিকে এমামলার বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শুক্রবার (৭ নভেম্বর) মামলা হয়েছে। মামলা নং-৫। এবিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এম.জাফরান হারুন দেশের কন্ঠ ২৪.কম