স্টাফ রিপোর্টারঃ-
জয়পুরহাটের জেলা পৌর শহরের গুলশান চৌমোড় এলাকায় বামনপাড়া দুর্গা মন্দিরে প্রকাশ্যে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১২ টায় প্রতিমা ভাংচুরের ওই ঘটনায় প্রিন্স নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, প্রতিমা ভাংচুর করে পালানোর সময় পুলিশ প্রিন্স (৩৭) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। তার নিকট থেকে পুলিশ একটা লোহার দা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত,যুবক প্রিন্স পৌর সদরের গুলশান এলাকার আফাজ উদ্দিনের ছেলে।
গুলশান চৌমোড়ের বামনপাড়ায় প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শান্তিপূর্ণ ভাবে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়। সোমবার বিজয়া দশমী পূজা শেষে দুপুর ১২ টার দিকে বিসর্জনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছিল এলাকার সনাতন ধর্মালম্বী লোকজন। এ সময় মন্দিরের ভেতরে দু’একজন ছাড়া কেউ ছিলনা। দুর্গা মন্দিরের ভেতরে ওত পেতে থাকা গ্রেপ্তারকৃত যুবক প্রিন্স এই সুযোগে প্রতিমা ভাংচুর শুরু করে। ভাংচুরের শব্দ শুনে পাশে অবস্থান করা ঢাকী শংকর প্রথমে এবং পরে সত্যম নামে অপর ঢাকী আসলে দা উঁচু করে তাদের আঘাত করার চেষ্টা করে পালিয়ে যায়।
জয়পুরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম আলমগীর জাহান জানান,প্রতিমা ভাংচুরের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনা স্থলে আসে এবং ধানের মাঠ দিয়ে পালানোর সময় যুবক প্রিন্স কে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রতিমা ভাংচুরের খবর পেয়ে দ্রুত ছুটে আসেন জেলা প্রশাসক মোঃ শরীফুল ইসলাম ও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাম কবির-পিপিএম সহ পুলিশের আরও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ঘটনাসস্থলে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ তাদের বক্তব্যে বলেন,বর্তমান সরকারের নীতি অনুযায়ী সম্প্রীতির বাংলাদেশে কেউ সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করলে কঠোর হাতে তা দমন করা হবে উল্লেখ করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন তারা।
এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ ও জেলা হিন্দুবৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দকে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করা হয় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
পরে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাম কবির-পিপিএম জানান, গ্রেপ্তার যুবক প্রিন্সকে ডিবি কার্যালয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কোন দলীয় পরিচয় আছে কিনা তাও ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সুপার জানান।