কুমিল্লা প্রতিনিধীঃ
হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলো শারদীয় দুর্গোৎসব। গত বুধবার বোধনের মাধ্যমে এবারের দুর্গোৎসবের আচার পর্ব শুরু হয়।
আজ শনিবার (২৪ অক্টোবর) মহা অষ্টমী। দেবী পূজার ষষ্ঠী থেকে দশমী, এর মধ্যে মহা ধুমধামে পালিত হয় মহা অষ্টমী। এ তিথিতে সন্ধী পূজা, কালীপূজা সহ নারী জাতিকে সম্মান জানিয়ে মায়ের সাকার উপাসনার জন্য কুমারী পূজা করা হয়। করোনা প্রার্দুভাব রোধে জনসমাগম এড়াতে কুমিল্লায় ৮০৯ টি পূজা মণ্ডপে কুমারী পূজা হচ্ছে না। দেশের কোথাও কোথাও সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কুমারী পূজার আয়োজন করা হয়েছে।
এ বছর দুর্গা এসেছেন দোলায় চড়ে এবং বিদায় নেবেন গজে ( হাতি) করে। আগামী সোমবার বিজয়া দশমী পর্যন্ত ঢাকের বাদ্যে মুখরিত থাকবে দেশের সকল পূজা মণ্ডপগুলো।
শাস্ত্রমতে, যা কিছু দুঃখ – কষ্টের বিষয়, যেমন – বাধাবিঘ্ন, ভয়,দুঃখ- শোক, জ্বালা – যন্ত্রণা এসব থেকে ভক্তকে রক্ষা করেন দেবী দুর্গা। শাস্ত্রকাররা দুর্গা নামের অর্থ করেছেন – দুঃখের দ্বারা যাকে লাভ করা যায় তিনিই দুর্গা। দেবী দুঃখ দিয়ে মানুষের সহ্যক্ষমতা পরীক্ষা করেন, তখন মানুষ অস্থির না হয়ে তাকে ডাকলেই তিনি তার কষ্ট দূর করেন। দুর্গাপূজার সঠিক সময় বসন্তকাল। কিন্তু বিপাকে পড়ে রাজা রামচন্দ্র শরতে দেবীকে অসময়ে জাগিয়ে পূজা করেন। সেই থেকে অকাল বোধন হওয়া সত্ত্বেও শরৎকালেই দুর্গা পূজার প্রচলন হয়।
এন.সি জুয়েল দেশের কন্ঠ ২৪.কম