স্টাফ রিপোর্টারঃ
নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার গনেশপুর ইউনিয়নের ভেবড়া গ্রামের মোঃ আলীম উদ্দীনের মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী মোছাঃ মিতু (১৫) পার্শবর্তী মৃত আব্দুল জলিল উদ্দীনের ছেলে আব্দুল খালেক (২২) এর বাড়ীতে ভোর ৪ টায় তার বাবা-মাকে না জানিয়ে পালিয়ে আসে।
সরজমিনে গিয়ে সাংবাদিকদের মিতু জানায়,
উক্ত ইউনিয়নের সতীহাট বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী মোছাঃ মিতু। সে দীর্ঘ ২ বছর ধরে মন-প্রান দিয়ে ভালোবেসে আসছে পার্শবর্তী আব্দুল খালেককে। কিন্তু খালেকের বাবা মারা যাওয়ায় এবং খালেক গরীব হওয়ায় মিতুর বাবা-মা কেহ রাজি নেই। তাই সে ভালোবাসার মানুষের সাথে সাড়াজীবন থাকার জন্য সে কাহকে না বলে খালেকের কাছে চলে এসেছে। সে আরো জানায়, এই বার দিয়ে, ৩ বার সে পালিয়ে এসেছে। বার বার তাকে খালেকের সাথে বিয়ে দেওয়ার নাম করে বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে মার-পিট করে কিন্তু বিয়ে দেয় না। এবার আর বিয়ে ছাড়া কোনক্রমেই কোথাও যাবে না বলে মিতু জানায়।
প্রেমিক দিনমজুর খালেকের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সে জানায়, আমরা গরীব, আমার বাবাও বেঁচে নেই, আমার মাকে নিয়ে এ সংসারের দায়-দায়ীত্ব সম্পুর্ন আমার উপর, তাই আমি প্রতিদিন ইট ভাটায় কাজ করি। আমারও খুব ভালো লাগে মিতুকে। তার মা-বাবা রাজি থাকলে আমার বিয়েতে সম্মতি আছে বা আমার পক্ষ থেকে কোন অসুবিধা নেই।
সকালে মিতুর বাবা-মাকে খবর দিয়েছিলাম, তার বাবা-মা এসেছিলো অনেক চেষ্ঠা করেছে মিতুকে এখান থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য কিন্তু কিছুতেই মিতু তার বাবার বাড়ীতে যেতে রাজি নেই।
স্থানীয়রা জানায়, এই মেয়ে বার বার পালিয়ে আসে, বার বার তার বাবা-মা এসে নিয়ে যায়। খালেক ইট ভাটায় কাজ করে এই মেয়ে সেখানেও পালিয়ে যায়। আজ ভোর ৪টায় খালেকের বাড়ীতে পালিয়ে এসেছে। সমাজ বলে তো একটা কথা আছে, ভোর থেকে একই ঘরে বিয়ে না হয়ে ছেলে-মেয়ে আছে। আমরা জানতে পেরে সমাজের সকলে মিলে আটকিয়ে রাখা হয়েছে। আজ যে কোন একটা ফাঁয়সালা হওয়া ভালো। এদের এই ঘটনায় পাড়ার অন্য ছেলে-মেয়ের উপরও প্রভাব পড়বে।
গনেশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ উদ্দীনের সাথে মোবাইলে এ বিষয়ে কথা হলে সে জানায়, বিষয়টি জানতে পেরেছি, যাহা হইলে ভালো হবে, সেটাই করে দেবে বলে জানায়।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি তারিকুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, যেহেতু মেয়ের বয়স হয় নাই, সেহেতু স্থানীয় ভাবে মিমাংসা হওয়া ভালো। তিনি এ বিষয়ে ওখানকার চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলবেন বলে জানান।
বৈকাল অনুমান সাড়ে ৫টার সময় এস আই ফারুক হোসেন ঘটনা স্থলে এসে প্রেমিক প্রেমিকা দু,জনকে মান্দা থানায় নিয়ে যায়। এস আই ফারুক হোসেন জানায়, দু,জনকেই থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আইনগত ভাবে যাহা ভালো হবে সেটাই করা হবে। বতর্মানে প্রেমিক-প্রেমিক মান্দা থানার হেফাজতে আছে।
হাবিব দেশের কন্ঠ ২৪.কম