হাবিব স্টাফরিপোর্টারঃ
নওগাঁ সদর উপজেলার চকপ্রান এলাকা থেকে দুটি শিশুকে উদ্ধার করে তার মায়ের কাছে ফিরে দিলো নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সোহরা ওয়ার্দী হোসেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার ধোপাইকুড়ি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মৃতঃ জলিলুর রহমানের মেয়ে মোছাঃ জাকিয়া সুলতানার সাথে প্রায় ২০ বছর পুর্বে ইসালামী শরিয়ত মোতাবেক সদর উপজেলার চকপ্রান এলাকার মৃতঃ মজিবর রহমানের ছেলে মোঃ হাসানুজ্জামান আসাদ এর সাথে বিবাহ হয়। তাদের সংসারে একটি ছেলে ও দুটি মেয়ে সন্তান আসে। তাহারা পরিবার নিয়ে প্রায় ৭ বছর মালয়েশিয়াতে থাকতেন। মালোয়েশিয়া থেকে দেশে এসে স্ত্রী-সন্তানকে রেখে হাসানুজ্জামান আসাদ আবারও মালোয়েশিয়াতে চলে যায় এবং প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া সেখানে আরেকটি বিয়ে করে। এরপর থেকে প্রথম স্ত্রী জাকিয়া সুলতানাকে ফোনে গালি-গালাজ সহ মানসিক নির্যাতন মুলক আচরন শুরু করে দেয়। এরপর আসাদ দেশে এসে প্রথম স্ত্রী জাকিয়াকে কোন কিছুতেই সহ্য করতে পারে না। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মার-পিট, গালি-গালাজ, হুমকি- ধামকি শুরু করে দেয়। এর প্রেক্ষিতে গত ০৬/০৯/২০২০ ইং তারিখে সকাল অনুমান ৯ঃ৩০ সময় কথা কাটা-কাটির এক পর্যায়ে প্রথম স্ত্রী জাকিয়া সুলতানাকে এলোপাতারি ভাবে মারপিট করে, বড় দুটি সন্তানকে আটকে রেখে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। জাকিয়া সুলতানা নিরুপায় হয়ে তার মায়ের বাড়ীতে গিয়ে মায়ের পরিবারের লোকজনের কাছে তার সকল ঘটনা খুলে বলে।এরপর তার পরিবার থেকে বিভিন্ন ভাবে যোগাযোগ করেও কোন সুরাহা না পেয়ে নওগাঁ শালিশী ও আইন সহায়তা কেন্দ্রে (সদর মডেল থানার মোড়) আশ্রয় নেয়। শালিশী কেন্দ্র ও সাংবাদিকেরা যৌথ ভাবে সদর উপজেলা চকপ্রান হাসানুজ্জামান আসাদের সাথে দেখা করতে গেলে পরিচয় শুনে, তাদের উপর চড়াও হয় এবং শুদ্ধ না হলেও আধাভাংগা ভাবে ইংরেজীতে কথা বলতে শুরু করে। এরপর শিশু দুটি একটু সুযোগ পেলে ফোনে তার মাকে কান্নাকাটি করে জানায়, তাদেরকে খেতে দেয়না,সব সময় শাসাশাসি করে, এবং মাঝে মধ্য মারপিট করে। বাচ্চাদের মুখে এগুলো শুনে জাকিয়া সুলতানা মানবাধিকার ও সাংবাদিকদের কাছে গেলে তাকে নওগাঁ সদর থানায় ওসি মোঃ সোহরা ওয়ার্দী সাহেব এর কাছে অভিযোগ করলে, তিনি তা গ্রহন করে, এস আই মোঃ উজ্জল হোসেকে দিয়ে দিকনির্দেশনা দেন। এর প্রক্ষিতে এক থেকে দেড় ঘন্টার মধ্য শিশু দুটিকে উদ্ধার করে থানায় এনে তার মায়ের কাছে তুলে দেন। সন্তান দুটিকে কাছে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে জাকিয়া সুলতানা তার সন্তানদেরকে জড়িয়ে ধরে, মা ও সন্তানের যে অগাধ ভালোবাসা তা দেখে উপস্থিত সবার চোখে জল এসে যায়। উপস্থিত সকলেই ওসি মোঃ সোহরা ওয়ার্দী হোসেন ও এস আই মোঃ উজ্জল হোসেনকে প্রান খুলে দোয়া করেন।